একুশে পদকে ভূষিত অভ্র'র ডা. মেহেদী হাসান

কম্পিউটারে সহজেই বাংলা ভাষায় লিখতে পারার জনপ্রিয় সফটওয়্যার অভ্র কিবোর্ডের আবিষ্কারক ডা. মেহেদী হাসান খান। এই প্রতিভাবান ব্যক্তি একাধারে প্রোগ্রামার এবং চিকিৎসক, এবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে একুশে পদক পাচ্ছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞাপন

 ডা. মেহেদী হাসান খান ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের প্রতি ঝোঁক ছিল। ২০০৩ সালের বইমেলায় বায়োস নামক একটি সংগঠনের প্রদর্শনী দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তখনই তার মনে উদ্ভব হয় একটি সহজতর বাংলা লেখার সফটওয়্যার তৈরির চিন্তা। চিকিৎসাবিদ্যার পড়াশোনার পাশাপাশি, দিন-রাত এক করে, খাওয়া-ঘুম ভুলে হোস্টেলের ঘরেই একটা ছোট্ট কম্পিউটার সম্বল করে ডা. মেহেদী তখন লড়ছিলেন অন্য লড়াই। বাংলা ভাষার জন্য লড়াই। হাল ছাড়েননি মেহেদী।

বিজ্ঞাপন

 ২৬ মার্চ ২০০৩ সাল মেহেদী বিশ্বের সামনে নিয়ে এলো ‘অভ্র’ সফটওয়ার, যা আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের সব চেয়ে পছন্দের বাংলা লিখার সফটওয়ার। আজ বাঙালির কম্পিউটার, ল্যাপটপ খুললেই স্ক্রিনে একটি স্লোগান ভেসে ওঠে, ‘ভাষা হোক উন্মুক্ত’। এটিই মেহেদীর স্লোগান।

২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওমিক্রনল্যাব থেকে এটি মুক্তি দেওয়া হয়। বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কাজেও অভ্র ব্যবহার করেছে।

বিজ্ঞাপন

 অভ্র সফটওয়্যারের কারণে কম্পিউটারে বাংলা লেখা সহজ হয়েছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত সবাই এটি ব্যবহার করতে শুরু করে। অভ্র'র অন্যতম জনপ্রিয়তা এর ওপেন সোর্স প্রকৃতি এবং কাস্টম লেআউট সুবিধার জন্য।

তথ্যসূত্র: মেডিভয়েজ

Post a Comment

0 Comments